News

DIGITAL POLLUTION কি? ইমেল-টুইটার থেকে কিভাবে ছড়াচ্ছে দূষণ

ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ইমেল – এগুলি সবই আমরা প্রতিনিয়ত ব্যাবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন এসব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকেও ক্রমাগত পরিবেশ দূষিত হচ্ছে? একে বলে ডিজিটাল পলিউশন।

WION নামের একটি ডিজিটাল নিউজ সংস্থা Linkdin এ একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। যেখানে ডিজিটাল পলিউশনের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত দেখানো দিয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করার জন্য সর্বদাই ইলেকট্রিক শক্তি লাগে। অর্থাৎ ইলেকট্রিক বা ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। যা সাধারণ ভাবেই পরিবেশ দূষিত করে।

ইন্টারনেট কানেকশন এর জন্য যে সার্ভার বা রাউটার ব্যাবহার করা হয় এগুলো ও বিদ্যুৎ অথবা ব্যাটারিতে চলে। অর্থাৎ এগুলোর দ্বারাও পরিবেশ দূষণ হয়।

WION এর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে যে, সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমেও পরিবেশ দুষিত হয়। অর্থাৎ গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনে আপনি যদি কোনও বিষয়ও খুঁজে বের করতে চান তাহলে প্রায় ৭ গ্রাম কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরি হয়।

এই ৭ গ্রাম কার্বন-ডাই-অক্সাইড একটি গাছ খুব সহজেই শুষে নেয়। তবে সমস্যাটি হল গুগলে প্রতিদিন প্রায় কোটিরও বেশি মানুষ বিভিন্ন জিনিসস সার্চ করে। তাহলে দেখুন দিনে ঠিক কতটা কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরি হয়।

ঠিক একইভাবে অনলাইনে প্রতিটা টেক্সট ম্যাসেজে ০.১৪ গ্রাম, প্রতিটা টুইটে ০.২ গ্রাম কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়। হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজে উৎপন্ন হয় ৪ গ্রাম CO2। ইমেলে উৎপন্ন হয় ৪ গ্রাম কার্বন-ডাই-অক্সাইড। একটি সমীক্ষায় জানা গেছে দৈনিক ৩৩৩.২ বিলিয়ন কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন হয়।

আর একেই বলে ডিজিটাল পলিউশন।

Leave a Reply

Back to top button